দুজন একই কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ত। সেই থেকে প্রেম। এরপর পালিয়ে বিয়ে। পরিবারের লোকজন আয়োজন করল বাসরের। কিন্তু সেই রাতেই শ্বশুরবাড়ির পাশে আমগাছ থেকে উদ্ধার করা হলো মেয়েটির ঝুলন্ত মরদেহ।
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার একটি গ্রামে শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
মেয়েটির ছোট চাচা নিউজবাংলাকে বলেন, ১৫ বছর বয়সী তার ভাতিজির সঙ্গে সহপাঠী একই গ্রামের বাসিন্দার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চার দিন আগে ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে মাগুরা সদরে গিয়ে দুজনে বিয়ে করে বলে শুনেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমরা মেয়েকে বাড়ি আনার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা চাই। (শনিবার রাতে) স্থানীয় ইউপি সদস্য মেয়ের বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমার মেয়ের তো হাসিমুখে বিয়ে দিলাম কেবল। মিষ্টি খাওয়াও।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর মেয়ের বাবা বাড়ি এসে সবাইকে বিয়ের ঘটনাটি জানান। এর ঘণ্টা দুয়েক পরই খবর পাই, ছেলের বাড়ির পাশে আমগাছে আমার ভাতিজির মরদেহ ঝুলছে। তাৎক্ষণিকভাবে ছেলেকে ধরলে সে বলে সে এ বিষয়ে কিছুই জানে না। আসলে আমাদের মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবদেব রায় নিউজবাংলাকে বলেন, পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মেয়েটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতন্তের প্রতিবেদন পেলে মেয়েটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে, তার বাবা ও মাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।